জীবনসঙ্গী খুঁজতে সময় বের করতে হবে আপনাকে

আমাদের ব্যস্ততা দিন দিন বাড়ছে। যদিও প্রযুক্তি আমাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত সব কাজেই প্রযুক্তির সাহায্য আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও জীবনের সঠিক মানুষকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদেরকে নিজেকেই সময় বের করতে হবে। নতুবা এমন কিছু জুটতে পারে যে আপনার কষ্টকেই শুধু বাড়াবে। এই জন্য নিজের মনের মত পাত্রী খুঁজতে আপনাকেই সময় বের করতে হবে। 

আপনি একজন শিক্ষিত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। ভাল জব করেন, ভাল বংশ ইত্যাদি। তবে নিজের মনের মানুষ খুঁজে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চেস্টা করেননি, বয়স ৩০ পার হয়ে গেছে। এখন আপনি এমন একজন মেয়েকে খুঁজছেন যে হবে সুন্দরী, শিক্ষিত। এখানেই বাধা শুরু হল।

কারণ একজন সুন্দরী এবং শিক্ষিত মেয়েও কি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে?

খুবই কম। 

কারণ এই ধরনের মেয়েরা খুব সহজেই বিয়ে করতে পারে বা তাদের পছন্দের মানুষ থাকে। সে কেন আপনাকে বিয়ে করবে। কারণ তারতো মনের মানুষ খোঁজ করাই আছে অথবা সে আরেক স্বাবলম্বী ব্যক্তির বঊ হয়ে বসে আছে।

আবার যে মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে সে মেয়েকে আপনার পছন্দ নয়। কারণ হয়তো সে অত সুন্দরী নয় বা সুন্দরী হলেও বংশ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অত নেই। আপনার আত্বীয় স্বজন হয়তো হাল ছেড়ে দিয়েছে, তারাও এত ব্যস্ত যে আপনার জন্য পাত্রী খুঁজে বের করা তাদের জন্য সময়ের অপচয়। এমন অবস্থায় আপনার জন্য আপনাকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

তাই বিয়েটাতে রেজিস্ট্রেশন করুন। ছয় মাসের প্ল্যান কিনুন। নিজের পছন্দকে ঠিক করুন যে আপনি কি চান। প্রতিদিন কম বেশি আধা ঘন্টা সময় নির্ধারণ করুন বিয়েটা ডট কমের জন্য।

আপনার পছন্দের মেয়ের বা ছেলের বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, উচ্চতা, দেশের বাড়ি, পেশা ইত্যাদি কি হবে। আপনার নিজের দিক থেকেও ছাড়ের মন মানসিকতা রাখুন। কারণ সব কিছু আপনার একসাথে মিলবে না। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা কম সেই প্রায়োরিটি ঠিক করুন। 

বেশি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় যেমন, ধার্মিকতা, সুন্দর অবয়ব, শিক্ষা ইত্যাদি হতে পারে। সেই সাথে কম প্রায়োরিটি হিসাবে আর্থিক অবস্থা, বংশ, তালাকপ্রাপ্ত/অবিবাহিত ইত্যাদি হতে পারে। যদি আপনার গুরুত্বপুর্ন বিষয় এর সবগুলোই মিলে যায় তাহলে কম প্রায়োরিটির বিষয় গুলোতে ছাড় দিতে হবে। এভাবে নিজের পছন্দের একটি ছক তৈরি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আপনার পছন্দের মত সব কিছু কিন্তু মিলবে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণগুলো যেন বাদ পড়ে না যায় সেটা দেখুন। বাকী গুলোর ব্যাপারে মনে রাখতে হবে যে, সব মানুষেরই কিছু দুর্বলতা থাকে। দুর্বলতাগুলোকে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া একটা সারা জীবনের সাধনা। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী দু’জনই দু’জনকে সাহায্য করতে হবে সেই সাধনায়। সময় দিতে হবে। অপরের কথা গঠনমূলকভাবে শুনতে হবে। নিজের উন্নতি করতে হবে। কখনো মেনে নিতে হবে। আর কখনো বা নিতে হবে।      

 

বিয়েটা ডট কম -এর থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না। এখানে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনি অনেক বড় একটি পাত্র/পাত্রীর প্লাটফর্ম পাবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত এবং খুঁজে বের করার কাজটা কিন্তু আপনাকেই করতে হবে। 

বিয়েটা ডট কম আপনার সাথে আছে, থাকবে। তারা কিন্তু আপনি যাতে ফেক আইডির সম্মুখীন না হন, সেই চেস্টা করছে। প্রোফাইল বিভিন্নভাবে ভেরিফাই করছে, কাউকে সন্দেহ হলে বেন্ড করে দিচ্ছে। আর আপনার জন্য সপ্তাহে ৭ দিন, প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘন্টা থাকছে হেল্পলাইনের হেল্প। প্রয়োজন শুধু সংকোচ না করে হেল্পলাইনে কল করা, আর সঙ্গে সঙ্গে পাবেন আন্তরিক সহযোগিতা। 

 

আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিজের পছন্দমত পাত্রীর শর্ট লিস্ট করতে হবে। তারপর একটি প্ল্যান  কিনতে হবে। এরপর প্রতিদিন প্রায় আধা ঘন্টা সময় দিবেন। এভাবে ছয় মাস চেস্টা করলে আশা করা যায় আপনি আপনার পছন্দের মানুষকে খুঁজে পাবেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.