স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু

আপনার জীবনে যত বন্ধ আছে, যত সহকারী, সাহায্যকারী আছে স্ত্রী তাঁর মধ্যে সর্বত্তম বন্ধু। 

Best friend, best helpful person, best person to build up your life.

বেশিরভাগ ছেলেরাই মনে করেন যে, শারীরিক চাহিদা মেটানো ও গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য স্ত্রী প্রয়োজন।

কথাটি সত্য এবং এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। তবে এছাড়াও স্ত্রী দ্বারা আপনি এত বেশি উপকার পাবেন যা অন্য কারো দ্বারা সম্ভব নয়। স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু। 

অবাক হচ্ছেন, এটাই সত্য।

হ্যাঁ তারপরেও বিয়ের পরে ঝগড়া হবে, মারামারি হবে, ভরণ পোষণ দিতে হবে, সারা জীবন এই যুদ্ধ চলবে। কখনও আনন্দ, কখনও রাগ-অভিমান। কখন হাসি, কখনও কান্না। কখনও চরম সফল মনে হবে, কখনও ব্যর্থ মনে হবে ইত্যাদি। 

কিন্তু আপনার পাশে স্ত্রী আছে মানে আপনি সফলতার রাস্তায় হাঁটছেন, ইনশাআল্লাহ একদিন সফল হবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। 

 

তাই স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু এই নিয়ে  বাস্তব জীবনে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া স্ত্রীর কিছু ইতিবাচক দিক-

১। স্ত্রীর মতন শারীরিক চাহিদার পূর্ণ আনন্দ আর কেউ দিতে পারবেনাঃ আপনার প্রথম মনোভাব যদি হয় যে স্ত্রী দ্বারা শুধু শারীরিক চাহিদা মেটানো হয়। তাহলে মনে রাখবেন স্ত্রীর মাধ্যমে যে আনন্দ, তৃপ্তি পাওয়া যায় পৃথিবীর অন্য কোন নারী দ্বারা এত আনন্দ কোনদিনও সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ প্রদত্ত আনন্দ, শান্তি রয়েছে স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর জন্য। 

২। মানসিক প্রশান্তিঃ বিবাহিত ব্যক্তিদের আরেক পাওয়া হল মানসিক প্রশান্তি। শারীরিক তৃপ্তির পাশাপাশি বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য থাকে মানসিক প্রশান্তি।

৩। আপনার প্রয়োজনে সর্বক্ষণ পাশে থাকা ব্যক্তি আপনার স্ত্রীঃ হ্যাঁ, মা-বাবা অবশ্যই দুনিয়াতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত। কিন্তু এই মা-বাবাও এত পাশে, এত কাছে, এত সময় থাকতে পারেনা যতটা স্ত্রী আপনার পাশে থাকে, থাকতে পারে বা থাকা সম্ভব।

৪। স্ত্রী আপনার পারসোনাল ডাক্তারঃ আপনার যত ধরনের অসুখ-বিসুখ আছে স্ত্রী জানবে, লুকানো যাবেনা, যায়না।  স্ত্রীর পরামর্শে চললে, তাঁর সাথে ভাল সম্পর্ক রাখলে এর চাইতে ভাল পারসোনাল ডাক্তার আর পাবেননা। তবে এই ডাক্তারকে রাগালে দুনিয়ার কোন ডাক্তারই আপনাকে সুস্থ করতে পারবেনা। 

৫। স্ত্রী আপনার পারমানেন্ট ব্যক্তিগত সহকারীঃ আপনার ব্যক্তিগত সহকারী হলেন আপনার স্ত্রী। আপনার অফিস, আপনার ব্যাংক, আপনার লেন-দেন, অর্থ সম্পদের, কার সাথে কি সমস্যা চলছে, কখন কি করতে হবে ইত্যাদি এই পার্মানেন্ট ব্যক্তিগত সহকারী করে দিবে এবং বলে দিবে। আপনি শুধু একে খুশিতে রাখবেন, অসম্মান করবেননা। বেতন লাগবেনা। বরং মাঝে মাঝে আপনাকে হোটেলে না খাওয়াতে পারলেও বাসায় উন্নত মানের বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবে। 

৬। সারা জীবনের গৃহিণীঃ স্ত্রী আপনাকে সারা জীবন রান্না করে খাওয়াবে। কখনও বেতন চাইবেনা, চায়না। সে আপনাকে খাওয়াতে পারলেই খুশি, আপনি শুধু তাঁর প্রতি মানবিক হবেন, দয়ালু হবেন। 

৭। আপনাকে সন্তান দাতাঃ স্ত্রী ব্যতিত কেউ আপনাকে এই উপহার অর্থাৎ সন্তান দিতে পারবেনা। এটা শুধু আপনার স্ত্রীর দ্বারাই সম্ভব।

৮। আপনার সন্তানের পার্মানেন্ট রক্ষণাবেক্ষণকারি, সারাজীবনের স্নেহময়ী মা:  আপনার সন্তানের লালন-পালনের জন্য স্ত্রীই যথেষ্ট, আপনি শুধু স্ত্রী ছাড়া পরনারীর দিকে নজর দিবেন না। নজর অন্য দিকে গেলে সব হারাবেন। 

৯। আপনার পিতা-মাতারও সহযোগীঃ আপনার পিতা-মাতার প্রতিও আপনার স্ত্রী সামর্থ্যনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পিতা-মাতার ভরন পোষণের, দেখভালের দায়িত্ব আপনার অর্থাৎ স্বামীর, স্ত্রীর নয়- ব্যপারটি ভুলে গেলে চলবেনা।

১০। ফ্রি পরামর্শ দাতাঃ কেউ কাউকে পরামর্শ দিলেও অর্থ লাগে। যেমন আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন, ডাক্তার কিছু পরামর্শ দিল- টাকা লাগবে, উকিলের কাছে গেলে টাকা লাগে। কিন্তু স্ত্রী আপনাকে সারা জীবন পরামর্শ দিবে কোন টাকা লাগবেনা। দেওয়া উচিত কিন্তু কেউ দেয়না, কেন দেয়না জানিনা, ফ্রি পরামর্শতো, তাই অনেক সময় একে কেউ গুরুত্বও দেয়না। অথচ দুনিয়ার বেশির ভাগ সফল ব্যক্তিরাই স্ত্রীর পরামর্শে চলতেন, তাদের কথাকে গুরুত্ব দিতেন। 

১১। দ্বীন পালনে সহযোগীঃ আপনার নামাজের জন্য অজু, গোছল, পাক-পবিত্র পোশাক এছাড়া অন্যান্য দ্বীনের সকল হুকুম আহকাম পালনে স্ত্রী আপনাকে সহযোগিতা করবেন। দ্বীন পালন আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। 

১২। ব্যবসায়ী বা চাকুরী কাজে সহযোগীঃ আপনি যে পেশার লোকই হন না কেন, স্ত্রী আপনাকে সহযগিতা করবে। বিয়ের পরে থেকেই দেখবেন আপনার সময়ে বরকত হওয়া শুরু হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, ভাল ঘুম হবে যা আপনার পেশাগত সকল কাজে সহযোগিতার কারণ হবে।

১৩। আপনার পছন্দনুযায়ী পোশাক গুছিয়ে দেওয়াঃ স্ত্রী দেখবেন প্রতিদিন আপনার পছন্দনুযায়ী পোশাক গুছিয়ে রেখেছে, এই নিয়ে আপনাকে তেমন আর মাথা খাটাতে হচ্ছেনা, আপনি শুধু এই বসকে চেতাবেননা, কিছু দেন বা না দেন প্রশংসা করতে ভুলবেননা। স্ত্রীকে প্রশংসা করলে যা পাবেন, সেটা আপনি চিন্তাও করতে পারবেননা। তবে প্রশংসা না করে যদি বেশি ভুল ধরেন, তাহলে আপনার ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবেনা। না মানে না- সাবধান। 

১৪। আপনার পছন্দনুযায়ী খাবার পরিবেশনকারীঃ বিয়ের পরে স্ত্রী খুব দ্রুত আপনার খাদ্য অভ্যাস জানতে পারবে। এরপরে দেখবেন শুধু খাবারের বাহার।

১৫। আপনার ঘরের পার্মানেন্ট বিশ্বস্ত পাহারাদারঃ আপনার ঘরে আর কোন পাহারাদার লাগবেনা। স্ত্রী আপনার বিশ্বস্ত সংগী। বিয়ে করুন এবং নিশ্চিন্তে ঘুমান, আর সম্পদ হারানোর ভয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

১৬। বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর আত্বীয়দের দ্বারা আপনার সহযোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবেঃ বিয়ের আগে যদি আপনার বন্ধু, আত্বীয় স্বজন ৭০/৮০ জন হয়। বিয়ের পরে এই সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি আপনার পাশে ফ্রিতেই আরো কিছু মানুষ পেয়ে গেলেন যাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনি উপকৃত হবেন। 

১৭। শান্তি ও সফলতার অন্যতম মাধ্যমঃ কথায় আছে, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির সফলতার পিছনে একজন নারীর সহযোগিতা থাকে। এই সহযোগী আপনার মা হতে পারেন, বোন হতে পারেন, বান্ধবীও হতে পারেন। তবে স্ত্রীর সাহায্য ও পরামর্শে সফল হয়েছে এই সংখ্যাই সবচাইতে বেশি।

এখনও বিয়ে করতে দেরি করছেন?

বিয়েটা কেন তাহলে সৃষ্টি হল?

বিয়েটা সৃষ্টি হয়েছে ২০১৪ সালে আপনার বিয়ের কাজটিকে সহজ করে দেওয়ার জন্য। আপনি ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করুন, ১০/১৫ মিনিট লাগবে। প্ল্যান কিনতে পারসোনাল বিকাশ থেকে 01755690000 নাম্বারে পেমেন্ট করতে ৩/৪ মিনিট লাগবে। তবে পারসোনাল বিকাশ থেকে পেমেন্ট করবেন, সেন্ড মানি বা ক্যাশ আউট হবেনা।  পছন্দনুযায়ী সার্চ দিতে ১০/১২ মিনিট লাগবে। অনুরোধ পাঠাতে পারবেন আপগ্রেড হলেই। 

আপগ্রেড হলেই পুরো বায়ো-ডাটা দেখার অনুরোধ পাঠাতে পারবেন পাত্রী পক্ষকে। পাত্রীপক্ষ চিন্তা-ভাবনা করতে একটু সময় নিতে পারে, পছন্দ হলে সাথে সাথে অনুরোধ গ্রহণ করবে। এরপরে যোগাযোগের অনুরোধ পাঠাবেন, যোগাযোগের অনুরোধের রেজাল্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে সর্বোচ্চ ৭ দিন। এরপরে যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ করলে নাম্বার পাবেন, শুরু হবে কথা বলা। উভয়ের পছন্দ হলেই অভিভাবক বা বাবা-মাকে জানাবেন। ধরে নিলাম আরো ৭ দিন। অর্থাৎ বিয়েটাতে বিয়ের জন্য সিরিয়াস হলে বিয়ে করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১ মাস। এছাড়া প্ল্যাটিনাম প্যান নিলে পাবেন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন সার্ভিস। প্ল্যাটিনাম প্ল্যান কিনলে আপনার বিয়ের কাজ চলবে রকেটের গতিতে ইনশাআল্লাহ।

সিদ্ধান্ত আপনার? 

রকেট নাকি প্লেন? প্লেন নাকি রকেট?

রকেট হল প্ল্যাটিনাম প্ল্যান যার মূল্য ৭৯৯৫ টাকা, সিলভার এবং গোল্ড প্ল্যান হল প্লেন। সিল্ভার ২০০০ টাকা, গোল্ড-৪৯৯৫ টাকা। না-বাবা আমার এত টাকা নাই, তাহলে বিয়েটাও নাই, বিয়েরও দরকার নাই। কারণ, এই টাকাকে যদি বেশি মনে হয় বিয়ের পরেতো আরো টাকা লাগবে, সেটা চলবে কিভাবে? 

 

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.