বিয়ের পরে সুখে থাকার কি কোন উপায় আছে?

আমরা সবাই সম্মানিত জীবন আশা করি। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে এই আগ্রহ তুলনামূলক বেশি। তাদেরকে একটু সম্মান দিয়ে কথা বললে তাঁরা খুব দ্রুত অন্যকেও সম্মান করে। 

বিয়ের পরে সুখে থাকার কি কোন উপায় আছে?

একজন বিবাহিত মেয়ে কিভাবে সম্মানিত জীবন কাটাতে পারে সেই বিষয়ে কিছু পরামর্শ বিয়েটা ডট কমের পক্ষ থেকে যা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, নিজ  স্বামীকে যারা বীরের মতন সম্মান করে তাঁরা দুনিয়াতে রানীর মত জীবন কাটায়।

কিন্তু আমাদের কারো কারো অবস্থা এমন যে আমরা সবাইকে সম্মান করতে পারি কিন্তু নিজের স্বামীকে প্রতিদ্বন্দী মনে করি, ফলে সম্মান ও ভালবাসার সম্পর্ক গড়া কঠিন হয়ে পড়ে। 

কেন আপনার স্বামীকে এত সম্মান করতে হবে-

১। স্বামীহীন স্ত্রী হল ডানাবিহীন পাখির মতনঃ 

আমাদের বর্তমান সমাজ, রাস্ট্র ব্যবস্থা বিয়েতে মেয়েদেরকে অনাগ্রহী করে তুলছে। অথচ বিবাহিত মেয়ে যে নিরাপদ জীবন যাপন করে অবিবাহিত মেয়ে তা কল্পনাও করতে পারবেনা। ডানাহীন পাখি যেমন উড়তে পারেনা, ডানা ভাঙ্গা পাখি যেমন বেশি দূর এগোতে পারেনা ঠিক তেমন স্বামীহীন মেয়েও জীবন যুদ্ধে বেশি দূর এগোতে পারেনা। ঠিকই একসময় এসে মনে হয় কেন আরো আগে বিয়ের চেস্টা করলামনা।

২। স্বামী হল স্ত্রীর জন্য মহান আল্লাহর উপহারঃ মহান আল্লাহ যখন কোন মেয়ের আখলাক দেখে খুশি হয় তখন তিনি তাঁর জন্য সেই রকম স্বামীর ফয়সালা করে দেন। তাই স্বামী হল স্ত্রীর জন্য মহান আল্লাহর উপহার। 

৩। সফল জীবনের জন্য স্বামীর কোন বিকল্প নেইঃ যারা স্বামী ছাড়াই সফলতা আশা করে তাঁরা বাস্তবে তেমন এগুতে পারেনা। একসময় তাঁরা হাপিয়ে উঠে, কারণ সে একজন সহযোগিকে গুরুত্ব দেয়নি, সে হল তাঁর স্বামী।

৪। স্বামীই পারবে সকল আশা পূরণ করতে অন্য কেউ নয়ঃ একজন মেয়ের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী থাকতেই পারে। যেমন, মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু বা আরো অনেকেই। কিন্তু কেউই স্বামীর মতন হতে পারেনা। মা-বাবা একটা সময় আর চাইলেও পাশে থাকতে পারেনা। ভাই, বোন এক সময় তাদের প্রয়োজনে আপনার পাশে থাকতে পারবেনা। বন্ধুরাতো আরো সাময়িক। স্কুল জীবনের বন্ধুরা যেমন এখন পাশে নেই, বর্তমান বন্ধুরাও থাকবেনা। কিন্তু স্বামী থাকবে আমরণ। 

৫। স্বামী হল স্ত্রীর জন্য জৈবিক চাহিদা মেটানোর একমাত্র ব্যক্তিঃ আপনার জৈবিক চাহিদা মেটানোর একমাত্র হালাল ব্যক্তি হচ্ছে আপনার স্বামী। নিষিদ্ধ সম্পর্ক দ্বারা কখনই স্বামীর মতন আনন্দ পাওয়া সম্ভব নয়।

৬। স্বামী হল সন্তান দাতাঃ স্বামীই আপনাকে কেবল আপনাকে সন্তান দিতে পারবে, অন্য কেউ নয়। একজন মেয়ের সর্বোচ্চ  চাওয়া থাকে দুনিয়াতে মা ডাক শোনা। এই মা ডাক শোনাতে পারবে কেবল আপনার স্বামী। 

৭। স্বামী আপনার সকল ভরণ পোষণ সারা জীবন দিবেনঃ কখনও চিন্তা করেছেন যে স্বামী আপনাকে কিসের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। হ্যাঁ, সারা জীবন ভরণ পোষণের নিশ্চয়তা। আপনি শুধু তাকে সত্যিকারের ভালবাসা দিবেন। 

৮। বিয়ের আগেই আর্থিক লাভবান হওয়া যায় স্বামী দ্বারাঃ স্বামীর মাধ্যমে আপনি বিয়ের  আগেই আর্থিক লাভবান হতে পারবেন। যেমন নগদে বিয়ের আগেই মহরানা বাবদ টাকা পয়সা পাওয়া। এত টাকা আর কেউ দিবেনা। 

০৯। স্বামীর সহযোগিতায় জীবন আনন্দদায়ক, অন্য কিছুতে নয়ঃ যতই আপনার বন্ধু, ফলোয়ার থাকুক না কেন, স্বামীর হেল্প না পেলে সত্যিকারের আনন্দ পাবেননা। যতই আপনি স্বামী ব্যতিত অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে উঠবেন, মনে করবেন আপনি সত্যিকারের আনন্দ হারাচ্ছেন। বিপরীতভাবে যতই অন্যের কাছে যাই হননা কেন স্বামীর কাছে প্রিয়, আপনার জীবনের আনন্দ কেউ ঠেকাতে পারবেনা।

১০। আপনার সকল চাহিদা কেবল স্বামীই পূরণ করতে পারবেঃ আপনার জীবনে যত চাহিদা আছে যেমন প্রতিদিন চাল, ডাল, কাচামরিচ থেকে শুরু করে গয়না, আয়না সব চাহিদা মেটাতে পারবে আপনার স্বামী। আপনি শুধু আপনার এই পার্মানেন্ট কর্মচারীকে রাগাবেননা। ভালবেসে, সম্মান দিয়ে পাশে থাকবেন -দুনিয়াতে আর কিছু লাগবেনা।

তাই যেসব মেয়েরা স্বামীকে সম্মান করেন, বীরের মতন শ্রদ্ধা করেন তাঁরা দুনিয়াতে রাজ-রানীর মতন জীবন কাটায়, কাটাবে ইনশাআল্লাহ। হোক না সেটা কুড়েঘর আর দিন শেষে পান্তা ভাত আর কাচামরিচ ও লবনের খাবার। হতেই পারে আপনার স্বামী কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তি নয় বা তাঁর তেমন উল্লেখ করার মতন কিছু নেই কিন্তু আপনাকে ভালবাসে, আপনিও তাকে ভালবাসেন- যথেষ্ট।

যেসব মেয়েরা বিয়ের পরে স্বামীকে সম্মান করেনা তাঁরা সাধারণত অস্থিরতায় জীবন কাটায়। যদিও বাইরে থেকে দেখতে খুব আনন্দ, হৈ চৈ দেখা যায় কিন্ত বাস্তবে থাকে অসহায়, কারণ আসল জন খুশি নয়, আর তিনি হচ্ছেন তাঁর স্বামী।

আবার একজন বিবাহিত মেয়ে বাইরে থেকে তেমন হৈ চৈ আর আনন্দ করতে দেখা যায়না, খুব দামি বাড়ি গাড়িও নেই কিন্তু স্বামীর সাথে সু-সম্পর্ক। সেই আসলে সুখী; যা দুনিয়ার কোন কিছু দিয়ে পাওয়া সম্ভব নয়। 

তাই বিয়ের পরে স্বামীকে সম্মান করুন, সম্মান পাবেন এবং শান্তিতে থাকার জন্য আর কিছু লাগবেনা ইনশাআল্লাহ।

বিয়েটা ডট কম আছে আপনার পাশে সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে। রেজিস্ট্রেশন করুন, বিয়েটার হেল্পলাইনে নিজের সকল চাওয়া ও পাওয়ার কথা বিস্তারিত বলুন, প্ল্যান কিনুন, প্রস্তাব পাঠান শুরু করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন। 

কারণ, আপনি সেই পথেই হাঁটা শুরু করে দিয়েছেন যে পথে হাজার বছর ধরে সফল ব্যক্তিরা অর্থাৎ বিবাহিত মেয়েরা হেঁটেছেন। 

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.